দুর্দশাগ্রস্ত মানুষের পাশে কার্জনেক্স-৯১

দুর্দশাগ্রস্ত মানুষের পাশে কার্জনেক্স-৯১

বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর সহযোগিতায় কার্জনেক্স-৯১ আর্থিক সহায়তা ত্রাণ প্রদান করেছে। করোনা মহামারির এই দুর্যোগে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছে কার্জনেক্স-৯১।

সোমবার (১৮ মে) কার্জনেক্স-৯১ এর সভাপতি রকীব আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ডঃ ফিরোজ আহমেদ এবং কোষাধ্যক্ষ নুরুন্নবী তুষার উপস্থিত থেকে ত্রানের অর্থ বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের কাছে হস্তান্তর করেন।

১৯৯১-৯২ শিক্ষাবর্ষে যারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হল ও এনেক্স ভবনে সাইন্স গ্রুপের ‘১৫ টি’ বিষয়ে ভর্তি হয়েছিল তাঁদের সমন্বয়ে গঠিত একটি সামাজিক সংগঠন কার্জনেক্স-৯১। এই সংগঠন করোনার মহা দুর্যোগে দুর্দশাগ্রস্ত মানুষের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে।  

এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো  হয়, করোনাকালীন এই মহামারীতে কার্জনেক্স-৯১ এর সদস্যবৃন্দ যে যার অবস্থান থেকে কোভিড -১৯ এর বিরুদ্ধে প্রত্যক্ষ লড়াইয়ে অংশ নিয়েছে। কোভিড -১৯ এর বিরুদ্ধে লড়াইয়ের অংশ হিসেবে কার্জনেক্স-৯১ এর সদস্যবৃন্দ স্বতঃস্ফূর্তভাবে দেশের অসহায় দুর্দশাগ্রস্ত অসহায়দের সহায়তায় এগিয়ে এসেছে। কার্জনেক্স-৯১ এর সদস্যবৃন্দের স্বতঃস্ফূর্ত কার্যক্রমকে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনী সহায়তা করেছে। 

আরও জানানো হয়, এই সংগঠনের সবাই ১৯৯৪ সালে অনার্স ও ১৯৯৫ সালে মাস্টার্স করে দেশে-বিদেশে বিভিন্ন কর্মক্ষেত্রে সুনামের সাথে মানুষের কল্যাণে কাজ করে চলেছে। সংগঠনের অনেকেই সরকারের বিভিন্ন বিভাগে উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা, ব্যাংক ও বেসরকারি বিভাগে অনেকে নীতি নির্ধারক, অনেকে সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বনামধন্য অধ্যাপক -নীতি নির্ধারক এবং গবেষক। আবার অনেকেই স্বউদ্যোগে ব্যবসা বাণিজ্যেও প্রতিষ্ঠিত। দেশের বাইরে বিদেশেও কার্জনেক্স-৯১ এর সদস্যবৃন্দ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্যাপক সুনামের সাথে গবেষণা এবং অধ্যাপনা করছে। কার্জনেক্স-৯১ এর সদস্যবৃন্দ সর্বদাই জাতির দূর্যোগকালীন সময় যেমন- বন্যা, শীত বিভিন্ন দুর্যোগে সহায়তা নিয়ে এগিয়ে এসেছে। 

জাতির ক্রান্তিকালে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর এমন মানবিক কাজে অংশ নেয়ায় বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর প্রতিটি সদস্যকে আন্তরিক অভিনন্দন। 

সংগঠনটি জানায়, ভবিষ্যতেও কার্জনেক্স-৯১ এর সদস্যবৃন্দ অসহায় দুর্দশাগ্রস্ত মানুষের সহায়তা তাদের কার্যক্রম অব্যাহত রাখবে।

সূত্রঃ  একুশে টিভি ডটকম