বিসিএসআইআরের নব-নির্বাচিত চেয়ারম্যানকে সম্বর্ধনা দিল ‘কার্জনেক্স -৯১’

বিসিএসআইআরের নব-নির্বাচিত চেয়ারম্যানকে সম্বর্ধনা দিল ‘কার্জনেক্স -৯১’

বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদ (বিসিএসআইআর) এর নব-নির্বাচিত চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোঃ আফতাব আলী শেখ কে মোকাররম ভবনে ২৬ আগস্ট বৃহস্পতি সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় স্বাস্থ্য বিধি মেনে সর্বপ্রথম সম্বর্ধনা প্রদান করেন ‘কার্জনেক্স -৯১’ সংগঠন।

‘কার্জনেক্স -৯১’ সংগঠনের সদস্য বন্ধুদের পেয়ে আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়েন নব-নির্বাচিত চেয়ারম্যান । তিনি বলেন, “আমি অনেক কষ্ট করে আজ এখানে এসেছি।আমার বন্ধুরা এখানে যারা আছো তোমরা সবাই যোগ্য । বন্ধুদের জন্য আমার দরজা সব সময় উন্মুক্ত।”

সংগঠনের সদস্যরা ফুল দিয়ে তাকে উঞ্চ সম্বর্ধনা প্রদান করেন এবং প্রত্যেকেই নিজ নিজ বক্তব্যে তার উত্তরোত্তর সাফল্য কামনা করেন এবং একবাক্যে সকলে স্বীকার করেন যে বন্ধু আফতাব একজন নিরহংকার ও পরোপকারী মানুষ। তাঁর তুলনা সে নিজেই ।

দুঃসময়ে বন্ধুদের পাশে আফতাব আলী শেখ কে যেভাবে পাওয়া যায় তা প্রশংসার দাবি রাখে। হত-দরিদ্র মানুষের পাশেও তাকে সব সময় পাওয়া যায়। সততা এবং যোগ্যতার মাপকাঠিতে তার উচ্চতা সর্বোচ্চ শিখর থেকে শিখরিত ।

উক্ত অনুষ্ঠানে নতুন আলো প্রতিদিন পত্রিকার সম্পাদক জনাব মোনাব্বার হোসেন মোনায়েম বলেন, “বন্ধুরা আমরা এখন বড় হয়েছি, আমাদের প্রত্যেকের বয়সই এখন পঞ্চাশ ছুঁই ছুঁই । অল্প বেতনে সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠে পড়ার সুযোগ আমাদের করে দিয়েছে সরকার ও দেশের জনগণ ‌। তাই দেশ ও জনগণের সেবায় যার যার জায়গা থেকে নিয়োজিত থাকা আমাদের অবশ্য কর্তব্য।”

তিনি আরো বলেন যে, “বন্ধু আফতাব তুমি এগিয়ে যাও, আমরা তোমার আরো সাফল্য কামনা করি, আমরা আজ তোমার জন্য গর্বিত, ভবিষ্যতে আরো ভালো স্থানে তোমাকে আমরা দেখতে চাই।”

অনুষ্ঠানে সংগঠনের আরো অনেক সদস্যরা বক্তব্য রাখেন। সকলেই নব-নিযুক্ত চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আফতাবের আলী শেখের সুস্বাস্থ্য ও সাফল্য কামনা করেন।

অনুষ্ঠানের শেষের দিকে গান গেয়ে বন্ধুরা আনন্দ উৎসবে মেতে ওঠেন, সম্পূর্ণ সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে রাত ৯.৪৫ টা পর্যন্ত বন্ধুদের এই মিলনমেলার আড্ডাটি ছিল সজীব, উজ্জ্বল ও প্রাণবন্ত।

অনুষ্ঠান সার্বিক সহযোগিতা ও পরিচালনায় ছিলেন অধ্যাপক ফিরোজ আহমেদ ও “কার্জনেক্স-৯১” এর সভাপতি রাকিব আহমেদ।

নতুন আলো প্রতিদিনের প্রত্যাশায় প্রোজ্জ্বল আলো “কার্জনেক্স-৯১” সংগঠনের প্রিয় বন্ধুরা করোনাকালীন এ দীর্ঘ নিঃশ্বাস পরিহার করে মুক্ত পরিবারের নি:শ্বাসে ছিল ভরপুর ও উজ্জ্বল, ছিল অফুরন্ত ভালোবাসা পরস্পর স্বমহিমায় ভাস্বর, এক প্রাণবন্ত ভালোবাসার মধ্য দিয়ে হেঁটে যাওয়া।

এখানে উল্লেখ্য যে, ১৯৯১-৯২ শিক্ষাবর্ষে যারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হল ও এনেক্স ভবনে সাইন্স গ্রুপের ‘১৫ টি’ বিষয়ে ভর্তি হয়েছিল তাঁদের সমন্বয়ে গঠিত একটি সামাজিক সংগঠন “কার্জনেক্স-৯১”। এই সংগঠনের অনেক সদস্যরা বর্তমানে বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক,  সরকারের বিভিন্ন বিভাগে উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা, ব্যাংক, সংবাদপত্র ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে উচ্চ পর্যায়ে কর্মরত আছে। আবার অনেকেই স্ব-উদ্যোগে ব্যবসা বাণিজ্যেও প্রতিষ্ঠিত। দেশের বাইরেও “কার্জনেক্স-৯১” এর সদস্যবৃন্দ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ব্যাপক সুনামের সাথে কাজ করছেন।